এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ - এজমা থেকে মুক্তির উপায়

 প্রিয় পাঠক, আপনারা প্রশ্ন করেছেন এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ ও এজমা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। আজকের পুরো আর্টিকেল জুড়ে আলোচনা করা হবে, এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ ও এজমা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ ও এজমা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

এজমা - হলে - কি - কি - খাওয়া - নিষেধ

পোস্ট সূচিপত্রঃ এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ - এজমা থেকে মুক্তির উপায় 

ভূমিকা

এজমা এক ধরনের শ্বাসনালীর রোগ, এটি বিভিন্ন রকম কারণে হয়ে থাকে। এজমার সমস্যা দেখা দিলে শ্বাস নিতে অনেক বেশি কষ্ট অনুভব করতে হয় রোগীকে। আর তাই এজমা সম্পর্কে বিস্তার ধারণা রাখা উচিত। আজ আপনাদের মাঝে এজমা নিয়ে কয়েকটি জরুরী ও প্রয়োজনমূলক বিষয়ে আলোচনা করব। এর মধ্যে রয়েছে এজমা কেন হয় অর্থাৎ এজমা হওয়ার কারণ কি, এজমা কি ভালো হয়, কারণ অনেকে প্রশ্ন করেন এজমা একবার হলে সেটা সম্পূর্ণরূপে ভালো হয় কিনা। তাছাড়া এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এবং এজমা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। 

আপনারা যারা এজমা সম্পর্কে জানতে চান তারা নিচের আর্টিকেল টুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ শরীরে একবার এজমার সমস্যা দেখা দিলে, সেই ব্যক্তিকে অনেক কষ্ট উপভোগ করতে হয়, বিশেষ করে এজমার রোগীদের জন্য শীতকাল খুবই মারাত্মক একটি সময়। চলুন তাহলে জেনে নেই এজমার সমস্যা  কেন হয়, এজমা কি ভালো হয়, এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ ও এজমা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

এজমা কেন হয়

অনেকেই প্রশ্ন করেন এজমা কেন হয়? আসলে এজমা কেন হয় তার সুনির্দিষ্ট কারণ বলা যায় না, এর কারণ হলো বেশ কিছু কারণে এজমা রোগের উৎপত্তি ঘটে এবং এর স্থায়িত্ব কতটা হবে সে বিষয়টি নির্ভর করে। এজমা নানা কারণে হয়ে থাকে, এর মধ্যে রয়েছে- 
  • পরিবেশ দূষণ অর্থাৎ যখন পরিবেশ দূষণ হয় এর ফলে যে ধুলাবালি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে সেই ধুলাবালি থেকে অনেক সময় সর্দির উৎপত্তি হয়। সেই সর্দি থেকে কফ জমতে পারে এবং এই কফ শরীরে বসে যায়। দ্রুত এই সর্দির সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা না করলে, দীর্ঘদিন এমন অবস্থা থাকতে থাকতে একসময় এজমার আকার ধারণ করে।
  • অনেক সময় এলার্জিজনিত কারণেও এজমার সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি সমস্যার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হতে দেখা যায় এবং ধীরে ধীরে এটি এজমার রূপ ধারণ করে।

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

  • এজমার সমস্যাটি বংশগত কারণেও হতে পারে অর্থাৎ বংশে কারো যদি এজমার সমস্যা থাকে তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যক্তিদের এজমা হওয়ার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি।
  • এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ ও পশু প্রাণীর মাধ্যমেও হয়ে থাকে যেমন- ছত্রাক, আরশোলা, বেশ কিছু পশুর লোম ইত্যাদি।
  • এমনকি নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ সেবনের কারণেও এজমার সমস্যায় পড়তে হয়, যেমন ধরুন বেশ কিছু ব্যথা নাশক ঔষধ, অ্যাসপিরিন, ইত্যাদি।

এজমা কি ভাল হয় 

এজমার সমস্যা নিয়ে যারা চিন্তিত থাকেন তারা এমন প্রশ্ন করে থাকেন যে এজমা কি ভাল হয়? এক কথায় উত্তর হবে এজমা সম্পূর্ণরূপে ভালো হয় না অর্থাৎ পুরোপুরিভাবে নিরাময়যোগ্য নয়। এজমা হল শ্বাসনালীর প্রদাহ জনিত সমস্যা বা রোগ, এটি সবথেকে বেশি দূষিত পরিবেশ ও বংশগত কারণেই হয়ে থাকে। এজমা পুরোপুরিভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে এজমার সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে সেটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার যে সমস্ত মানুষের অল্প বয়সে এজমা রোগ হয়, তারা সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারলে এজমা সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব।

এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

আজকাল এজমার সমস্যায় অনেকেই ভুক্তভোগী, এজমার সমস্যায় বেশ কিছু খাবার এজমার কষ্টকে বাড়িয়ে তোলে। আর তাই এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখা প্রয়োজন। কারণ যে সকল ব্যক্তিদের এজমা সমস্যা রয়েছে তারা ভালো বোঝেন যে এজমা অ্যাটাক হলে কত বেশি কষ্ট উপভোগ করতে হয় তাদের, শ্বাস প্রশ্বাসে অনেক বেশি কষ্ট হয়। আর তাই অবশ্যই এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে বিষয় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখা আবশ্যক। যাতে করে ঐ সকল খাদ্য গ্রহণ করে একজন এজমা আক্রান্ত রোগী বেশি কষ্ট না পান। চলুন তাহলে দেখে নেই এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ, সে খাবার গুলো সম্পর্কে।
  • শুষ্ক ফলঃ এজমার সমস্যা যারা ভুগছেন তারা অবশ্যই শুষ্ক ফল এড়িয়ে চলুন। কারণ এই শুষ্ক বা শুকনো ফলে প্রচুর পরিমাণে সালফাইট থাকে, আর এজমার সমস্যা বৃদ্ধি করতে সালফাইট কাজ করে। আর তাই শুকনো ফল খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করুন।
  • মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডঃ আমরা জানি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তবে, মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড একজন এজমা আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য বেশ মারাত্মক। এজমা আক্রান্ত রোগীর এজমা এটাক বৃদ্ধি করতে পারে মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আর তাই এটি খাওয়া বন্ধ করা জরুরী।
  • ঠান্ডা খাবারঃ এজমা রোগীদের জন্য ঠান্ডা খাবার খাওয়া খুবই মারাত্মক, এমনকি অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করাও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। এর সাথে আইসক্রিম, ঠান্ডা দুধ, ঠান্ডা দই, রেফ্রিজারেটরে রাখা যে কোন ফল বা খাদ্য একজন এজমা রোগীর জন্য খুবই মারাত্মক। এ ধরনের ঠান্ডা খাদ্য গ্রহণ করার সাথে সাথেই এজমা এটাক হতে পারে। আর তাই সব ধরনের ঠান্ডা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • দীর্ঘ সময় পর্যন্ত খালি পেটে থাকাঃ বিভিন্ন ধরনের খাবারে এজমার সমস্যা বৃদ্ধি পায় আর তাই সেই সমস্ত খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয়। তবে, অনেকক্ষণ পর্যন্ত খালি পেটে থাকলেও এজমার সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। আর তাই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত খালি পেটে থাকবেন না।
  • রাতের খাবারঃ খাবারের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে, এর পাশাপাশি রাতে খাবারের ক্ষেত্রে বেশি রাত করে খাওয়া-দাওয়া করবেন না। বেশি রাত করে খাওয়ার পর শুয়ে পড়লে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আর তাই সহজপাচ্য খাদ্য গ্রহণ করার অভ্যাস করুন এবং রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • পেটে গ্যাস উৎপাদন করে এমন খাবারঃ বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার পরে পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস উৎপন্ন হয় যা একজন এজমা রোগীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন, বাঁধাকপি, কার্বনেটেড ড্রিংকস, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার ইত্যাদি খাদ্যগুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারণ এ ধরনের খাদ্যগুলো এজমা ঝুঁকি বৃদ্ধি করে, এক্ষেত্রে যেকোনো সময় এজমা অ্যাটাক হতে পারে।
এজমা রোগীদের জন্য অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যেকোনো ধরনের ঠান্ডা খাবার খাওয়া যাবেনা এবং পাকস্থলীতে গ্যাস উৎপন্ন করে এমন খাদ্য খাওয়া যাবেনা। এছাড়া স্বাভাবিক বিভিন্ন ধরনের ফল, আমিষ, নিরামিষ সব কিছুই খেতে পারবে।

এজমা থেকে মুক্তির উপায়

এজমা একটি শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা, আপনারা জানেন আমাদের বেঁচে থাকার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস কতটা জরুরী। শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব অর্থাৎ মৃত্যু নিশ্চিত। কিন্তু এই এজমা সমস্যাটি হলো শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা, এজমা সমস্যায় যারা ভোগেন তাদের যেকোনো সময় এজমা অ্যাটাক হয়ে থাকে। আর সেই রোগীরা জানে এ সময় কত কষ্ট উপভোগ করতে হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অনেক বেশি কষ্ট হয়। 
আর তাই এজমা থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে চিন্তিত থাকে তারা, সেই সমস্ত রোগীরা চাই এই কষ্টকর এজমা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে। আপনারা আগে জেনেছেন এজমা মূলত পরিবেশ দূষণ ও জেনেটিক কারণ অর্থাৎ বংশগত কারণেই বেশি হয়ে থাকে। তবে, এজমা যদি কারো হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা অতি প্রয়োজনীয়। একটি কথা স্পষ্টভাবেই বলা যায় এজমা সম্পূর্ণরূপে নিরাময় যোগ্য নয়। 

আপনারা উপরের অংশে জেনেছেন এজমা সম্পূর্ণরূপে নিরাময়যোগ্য নয় তবে, যদি ছোট বয়সে কারো সমস্যা হয় এবং দ্রুত সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যায় তাহলে এজমা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু বড়দের ক্ষেত্রে এজমা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তবে এজমা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং একজন এজমা আক্রান্ত রোগী সাধারণ মানুষের মতোই বেঁচে থাকতে হলে বেশ কিছু বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। চলুন তাহলে জেনে আসি, এজমা থেকে মুক্তির উপায় কি কি রয়েছে।

ইনহেলার ব্যবহার করুনঃ একজন এজমা আক্রান্ত রোগীর জন্য ইনহেলার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে অনেকেই ইনহেলার ব্যবহার করতে আগ্রহী নন বা ভয় করেন, কিন্তু একমাত্র ইনহেলার ব্যবহার করলে হঠাৎ করে এজমা আক্রান্ত রোগীকে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা সম্ভব। এটির কার্যকারিতা খুবই দ্রুত হয়, এর ফলে অনেকের প্রাণ বেঁচে যায়। আর তাই অবশ্যই সব সময় নিজের কাছে ইনহেলার রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ইনহেলার ব্যবহার বন্ধ করবেন না। এজমা অ্যাটাকের লক্ষণ বুঝতে পারলে ইনহেলার ব্যবহার করুন, এতে আপনার এজমা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ধুলোবালি ও ধোঁয়া এড়িয়ে চলুনঃ আপনারা জানেন একজন এজমা আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য ধুলাবালি বা ধোঁয়া কতটা মারাত্মক। আর তাই নিজের শরীরকে ভালো রাখতে হলে এজমা এটাক থেকে সুরক্ষিত থাকতে হলে, অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে ধুলোবালি ও ধোঁয়া থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে। কারণ নাক ও মুখের মাধ্যমে শরীরে বিষাক্ত ধোঁয়া ও ধুলাবালি প্রবেশ করার সাথে সাথেই এজমা অ্যাটাকের সমস্যা দেখা যায়। আর তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হবেন না, এরপরও চেষ্টা করবেন নাক মুখ ঢেকে বের হওয়ার। সেই সাথে বাড়ির কোন কাজ করলে অবশ্যই নাক মুখ ঢেকে তারপর কাজ করুন, এক্ষেত্রে আপনার শোয়ার ঘর সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন।

বিভিন্ন ব্যথার ওষুধঃ আপনাদেরকে উপরের অংশে বলেছি বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা নাশক ওষুধের মাধ্যমেও এজমা অ্যাটাক হয়ে থাকে। আর তাই যেকোনো ব্যথাজনিত সমস্যায় পেইন কিলার বা ব্যথার ওষুধ সেবন করবেন না, এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। হঠাৎ করেই যখন তখন ব্যথার ওষুধ সেবন করলে এজমা অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

আদাঃ এজমা রোগীর জন্য আদা খুবই উপকারী অর্থাৎ আদার রস। আর তাই আপনি নিজেকে সুস্থ রাখতে আদা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। আপনি আদা দিয়ে চা পান করতে পারেন, আবার চাইলে এক টুকরো আদা সামান্য একটু লবণ দিয়ে চিবিয়ে তার রস খেয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে, এটি যেমন শরীরের প্রদাহ কমায় ঠিক তেমনি ভাবে শ্বাসনালীর সংকোচন দূর করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা হতে দেয় না।

মধু ও দারুচিনিঃ এজমা রোগীদের জন্য খুবই উপকারী মধু ও দারুচিনি। আর তাই রোজ রাতে ঘুমানোর পূর্বে দারুচিনির গুঁড়ো ও ১ চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিলে এজমার সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যায়। আর তাই এখন থেকে রাতে ঘুমানোর পূর্বে মধু ও দারুচিনি গুড়ো খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুনঃ একজন এজমা আক্রান্ত রোগীর জন্য ঠান্ডা খাবার খুবই মারাত্মক, অবশ্যয় চেষ্টা করবেন গরম বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার খাবার খাওয়ার। কখনোই সরাসরি রেফ্রিজারেটর থেকে বের করা খাবার খাবেন না, এমন ঠান্ডা খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই এজমা এটাক হতে পারে। এছাড়াও ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং চেষ্টা করবেন উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গোসল করতে, এটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে।

লেবুঃ আপনারা জানেন লেবু তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি ও সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এজমার সমস্যা কমাতে লেবু খুবই কার্যকর, এছাড়া তুলসী পাতার রস অনেক উপকারী। এজমা সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন লেবু পানি অথবা লেবুর সাথে মধু এবং পানি মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনার এজমার সমস্যা অনেকখানি কমিয়ে দেবে।

এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ - এজমা থেকে মুক্তির উপায়ঃ উপসংহার

বর্তমান সময়ে এজমার সমস্যায় অনেক মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন, এমনও অনেক পরিবার রয়েছে যেখানে পরিবারের মোটামুটি সব সদস্যই এই রোগে আক্রান্ত। কারণ আপনারা জানেন এই রোগটি জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে অর্থাৎ বংশগত কারণে। এজমা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব নয় তবে এটি একেবারেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, যদি সঠিক খাদ্যাভ্যাস থাকে এবং উপরের বলা নিয়ম অনুযায়ী চলতে পারেন তাহলে।

আর তাই আজকের আর্টিকেলে আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি, এজমা কেন হয়, এজমা কি ভাল হয়, এজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এবং এজমা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আশা করি আপনারা উপরোক্ত বলা নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন যাপনের চেষ্টা করবেন, তাহলে আশা করা যায় আপনাদের এজমার সমস্যা একেবারেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ, আর্টিকেলটি যদি উপকারী মনে হয়, তাহলে আপনাদের পরিচিত বা বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। আসসালামু-আলাইকুম।

Comments

Popular posts from this blog

খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়

হাঁপানি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় - কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়